top of page
  • মাছের পরিমাপ ও মূল্য নির্ধারণ :

সকল প্রকার মাছকে আমরা প্রতি কেজির ওজনের দামে বিক্রয় করে থাকি। আমাদের সকল প্রকার মাছের মূল্য নির্ধারণ তার নির্দিষ্ট ওজন এর উপর নির্ভর করে।
যেমন :

  • শূন্য থেকে এক (০-১) কেজি ওজনের মাছের মূল্য একরকম। 
  • এক থেকে দুই (১-২) কেজি ওজনের মাছের মূল্য আরেক রকম। 
  • দুই থেকে তিন (২-৩) কেজি ওজনের মাছের মূল্য আরেক রকম। 
  • এবং তিন থেকে চার (৩-৪)কেজি ওজনের মাছের মূল্য আরেক রকম। 

এভাবে করেই প্রত্যেকটি স্তরে স্তরে মাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 

আর ছোট মাছের ক্ষেত্রে মাছ সংখ্যায় যত কম হবে আর ওজনে যাতে বেশি হবে মাছের দামটাও তত বৃদ্ধি পাবে। 

 

  • মৎস্য বিক্রয় প্রণালী :

 বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত আমাদের নিজস্ব খামারের মাছগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। 

 

  • মৎস্য ক্রয় প্রণালী :

যদি কোন ক্ষেত্রে আপনাদের চাহিদা সামুদ্রিক মাছ, নদী-নালা অথবা খাল বিল ইত্যাদির হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে মৎস্য সংরক্ষণ করে থাকি এবং সেগুলো তরতাজা ও ফ্রেশ ভাবে, কোনো প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই আপনাদের কাছে হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়ে থাকি। 

 

  • আমাদের মৎস্য সংরক্ষণ প্রণালী:

  সাধারণত বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে মৎস্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।

যেমন :

  •   সমুদ্দ্রিক মাছ,
  •   নদীর মাছ ,
  •   খালের মাছ,
  •   হাওরের মাছ,
  •   বাউরের মাছ,
  •   ও বিভিন্ন প্রকার মৎস্য খামারের মাছ।

 আমরা এ সকল দিক থেকে মৎস্য সংরক্ষণ করে থাকি এবং আমাদের নিজস্ব মৎস্য খামারও আছে। যেখানে প্রাকৃতিক নিয়মেই মৎস্য পালন করা হয় ।  নির্দিষ্ট কিছুদিন পর পর মৎস্য সংরক্ষণ করা হয়। আপনাদের সকলের কাছে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে। 

 

  • আমাদের মৎস্য পরিষ্কার প্রণালী:

আপনারা আমাদের কাছ থেকে মৎস্যজাত পণ্য ক্রয় করার পরে ও ডেলিভারির পূর্বে সেগুলোকে আমরা খুবই যত্ন সহকারে পরিষ্কার করে থাকি এবং এগুলো বাজারের মতন কোন নোংরা পরিবেশে নয়।  সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে প্রাকৃতিক নিয়মে পরিষ্কার করা হয়। যার ফলে মাছগুলোকে আপনাদের দ্বিতীয়বার পরিষ্কার করার কোন প্রয়োজনই পড়ে না। 

 

  • আমাদের ডেলিভারির নিয়ম:

যেকোনো প্রকার ডেলিভারি পূর্বেই মাছগুলোকে পরিষ্কারের পরে আমরা এগুলোকে ফ্রিজিং করার মাধ্যমে সংরক্ষণ করি। যাতে করে আপনারা কোন প্রকার ফরমালিন বা ভেজাল জাতীয় কেমিক্যাল মুক্ত ফ্রেশ মাছ খেতে পারেন। সেজন্য দেশের সর্বত্র আমরা ( ককশিটের বক্সের) মাধ্যমে বরফ দ্বারা ফ্রিজিং করে সকল প্রকার ডেলিভারি করে থাকি।দেশের সর্বত্র দূরদূরান্তে ডেলিভারি করার জন্য  মাছ ও মাংসের ফ্রিজিং করার ক্ষেত্রে ভালো খাবার পানি দ্বারা তৈরি কৃত বরফ দেওয়া হয় । 

 

  • আমাদের তত্ত্বাবধানে যত্নশীলতা :

আমরা যে কোন মূল্যেই হোক কোনোভাবেই আমাদের কোন প্রকার পণ্যে ওজনে কম দেই না। সে ক্ষেত্রে আপনারা সকলে শতভাগ(১০০%) বিশ্বাস করতে পারেন। কারণ এপারে না হলেও ওপারে কোন এক জায়গায় আমাদের সকলকেই নিজ নিজ হিসাব দিয়ে পার হতে হবে।  আমাদের তত্ত্বাবধান হতে শুরু করে আপনার হাতে আমাদের প্রোডাক্ট পৌঁছানোর পর্যন্ত কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হলে তা সম্পূর্ণ আমরা নিজস্ব দায়ভার নিয়ে থাকি।এর পরেও আপনাদের সুবিধার্থে সকল প্রকার পণ্যের সুবিধা অসুবিধা ও গুণগত মানের  বিষয় সমস্যার সমাধানের জন্য চব্বিশ (২৪) ঘন্টা সময় দেওয়া হয়ে থাকে। যাতে করে আমরা আপনাদেরকে উচ্চ মানের সেবা প্রদান করতে পারি।

 

  • প্রতারণা ও নির্ভরশীলতা :

সকল প্রকার প্রতারণা থেকে এড়াতে ও একে অপরের উপর নির্ভরশীল হওয়ার জন্য আপনাদের কাছ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে কিছু সাহায্য কামনা করছি। যেহেতু আমরা কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশের সকল স্থানে অন্য ডেলিভারি করে থাকি। তাই আনবক্সিং এর পূর্বে কুরিয়ার থেকে বক্সটি রিসিভ করে প্রথমতঃ ভালোভাবে চেক করে দেখবেন বক্সের কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে কিনা বা ভেঙে গেছে কিনা বা কোনভাবে কেউ খুলে রেখেছে কিনা। দ্বিতীয়তঃ আনবক্সিং এর পূর্বে একটি ভিডিও তৈরি করবেন যেটি বক্সের ভেতরে থাকা সর্বশেষ পণ্যটি উত্তোলন করা পর্যন্ত ভিডিওটি করতে হবে। তারপর যদি আপনি আপনার কোন প্রকার পণ্যদ্রব্য সেখানে খুঁজে না পান বা কোন প্রকার কোয়ালিটিতে যদি খারাপ কিছু প্রমাণিত হয় সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার আমরা নিজেরা বহন করব এজন্য আপনাদের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি ধন্যবাদ।

 

নিম্নে এই মাছটি সম্বন্ধে আপনাদের কাছে কিছু পরিচিতি তুলে ধরা হলো :

 

রুই

 (ইংরেজি: Rohu Carp; বৈজ্ঞানিক নাম: Labeo rohita)[২] বাংলাদেশ ও ভারতে বহুল পরিচিত মাছগুলোর মধ্যে একটি। আন্তর্জাতিকভাবে রুই মাছের নাম বলা হয়ে থাকে রোহু। স্থানীয় নাম রুই, রোহিতা, রুহিত, রাউ, নলা, গরমা, নওসি।

 

প্রাপ্তিস্থান

রুই মাছ ভারত (মূল ভূখণ্ড), পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের নদীতন্ত্রের প্রাকৃতিক প্রজাতি। মিষ্টি জলের পুকুর, হ্রদ, নদী ও মোহনায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় নদীতে বিচরণ করে, ডিম ছাড়ার সময় প্লাবন ভূমিতে প্রবেশ করে। স্বাদ, সহজ চাষপদ্ধতি ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে ও পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে শ্রীলঙ্কা, চীন, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে রুই মাছের চাষ হচ্ছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মিষ্টি জলের নদীতেও অনুপ্রবেশিত রুইয়ের সফল চাষ হচ্ছে। হলদা নদী কে রুই মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে দেখা যায়।

 

খাদ্যাভাস

রুই মাছ শাকাশী। এরা সাধারণত জলের মধ্যস্তরে চলাচল করে৷ এদের মুখ কিছুটা নিচের দিকে নামানো এবং পুরু ঠোঁট থাকার কারণে জলজ উদ্ভিদ, আগাছা এবং মাঝে মাঝে জলের তলদেশ থেকে পঁচা জৈব পদার্থ খেয়ে জীবনধারণ করে৷ এছাড়াও ফিসমিল, খৈলের গুঁড়া, কুঁড়া ইত্যাদি পুকুরে চাষের সময় সম্পূরক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তবে ছোট অবস্থায় এদের প্রধান খাদ্য থাকে প্রাণীকণা বা প্লাংকটন।

 

পুষ্টিগুণ

এ মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৯.৫৬ শতাংশ, জলীয় অংশ ৭৪.৬ শতাংশ, ক্যালসিয়াম ৬৫০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৮৮ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১০১ মিলিগ্রাম, কলিন ৮১৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি এম সি জি, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি পাওয়া যায়। এর তাপমূল্য ৯৭ ক্যালরী। খাওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে হজম হয় এই মাছ। এ ছাড়া এ মাছ নিয়মিত গ্রহণ পুষ্টির ঘাটতি পূরণ,দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি, জয়েন্টের কর্মসঞ্চলতা বৃদ্ধি, হার্ট চাঙ্গা রাখা,রক্ত প্রবাহের উন্নতি, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি সহ নানা কাজ করে।

 

প্রজনন

রুই মাছ দুই থেকে তিন বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে।বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে (বিশেষত জলজ উদ্ভিদময় স্থানে) রুই মাছ প্রজননে অংশ নেয়। এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় দুই থেকে ত্রিশ লাখ ডিম দিয়ে থাকে, যা মাছের বয়স, দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং অমরার দৈর্ঘ্য ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে।

 

মাছের ডিম

অপেক্ষাকৃত কম গভীর জলে এবং স্রোতের টানে নদীর পাড়ে স্ত্রী রুই মাছ ডিম ছাড়ে৷ এছাড়াও বাঁধ বা পুকুরে কৃত্রিম উপায়ে স্রোতের সৃষ্টি করা হলে রুই মাছ সেখানে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে। ৪-১০ কেজি ওজনের রুই মাছে ৬ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ ডিম থাকে৷ তবে গড়ে প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক মাছে প্রায় ১ঌ লক্ষ করে ডিম থাকে। রুই মাছ সাধারণত নদীতে ডিম পাড়ে। আবার বাঁকুড়া, মেদিনীপুর অঞ্চলের কিছু সংখ্যক বিশেষ ধরনের বাঁধেও ডিম পাড়ে। বাজারে যে পোনা পাওয়া যায় তা নদী থেকে ধরা মাছের ডিম পোনা।পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় লালগোলা, ধুলিয়ান অঞ্চলে এবং মালদহ মাণিকচক অঞ্চলে নদী থেকে মাছের ডিম পোনা ব্যাপক ভাবে ধরা হয়। রুই মাছ স্বাদে আকর্ষণীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক।

RUI MACH

450.00৳Price
1 Kilogram
    No Reviews YetShare your thoughts. Be the first to leave a review.
    bottom of page