top of page

আমরা আমাদের মাছ-মাংস জাতীয় সকল প্রকার পণ্য প্রতি কেজি হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করি। 

 

আমাদের বাছাই এর প্রক্রিয়া  :

বাজারে গেলে আপনার যেভাবে সকল জিনিস বাছাই করে ক্রয় করার চেষ্টা করেন। আমরা আমাদের নির্দিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা সেভাবেই সবথেকে ভালো জিনিসের মধ্যে থেকেও ভালো জিনিস আপনাদের জন্য বাছাই করে থাকি। সুতরাং আমাদের সকল প্রকার পণ্য আপনাদের জন্য স্বাস্থকর  ও ভেজাল বিহীন নিরাপদ খাবার। তাই  নিশ্চিন্তে আপনারা আমাদের সকল কিছু খাদ্যদ্রব্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। 

 

বয়লার মুরগি বাছাই প্রক্রিয়া :

আমরা আপনাদেরকে যে সকল বয়লার মুরগি দিয়ে থাকি এগুলো সবই আমাদের নিজস্ব ফার্মে পালন করা হয়ে থাকে। উপযুক্ত বয়স হওয়ার পরে এগুলোকে বাজারজাতকরণ করা হয়। শুধু খুচরাই নেয় অনেক ক্ষেত্রে অনেক পাইকারি ব্যবসায়ীরাও আমাদের থেকে সোনালি মুরগি ক্রয় করে থাকেন। 

 

মুরগি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রসেসিং :

সাধারণত বাজারে মুরগি পরিষ্কার করতে দিলে তারা যখন মুরগি জবাই করে সেটা যে হালাল প্রক্রিয়াতে সঠিকভাবে জবাই করা হয়েছে এর সঠিক কোন নিশ্চয়তা আমরা কেউই দিতে পারি না। তদ্রূপ তারা যখন মুরগিটাকে পরিষ্কার করে তো সেই পরিবেশ ও সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে আমরা একটা ঝুঁকির মধ্যে থেকেই বাধ্যতার সহিত তাদের কাছ থেকে মুরগি সারভিং করে থাকি। উক্ত সকল বিষয়কে খেয়াল করে আমরা আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে অতি যত্নের সাথে সকল প্রকার মুরগিকে জবাই করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকি সম্পূর্ণ হালাল পরিবেশে সুতরাং আপনারা নিশ্চিন্তেই আমাদের মুরগিগুলোকে নিয়ে রান্না করে খেতে পারেন।আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জবাই করা বাবদ প্রতি পিস মুরগিতে 10 টাকা করে মজুরি ধার্য করে থাকি।এবং আপনি যেভাবেই বলবেন আমরা সেভাবেই আপনার মুরগির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রসেসিং করে দিব।

বয়লার মুরগি উপকারিতা :

বয়লার মুরগি গোশতের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। এই মুরগির গোশতে কোলেস্ট্ররল এর পরিমান গরু ও খাসির মাংসের চাইতে কম থাকায় সকলে খেতে পারে। বয়লার মুরগি গোশতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস হিসাবে কাজ করে।

 

আসুন দেখে নেই বয়লার মুরগির মাংসে কি কি স্বাস্থ্য উপাদান রয়েছে :  

 

প্রোটিনে ভরপুর
মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা পেশীকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।

কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস। পেট ভরা রেখেও দীর্ঘদিন ওজন কমিয়ে রাখতে চাইলে মুরগির মাংস নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার।

 

বিষণ্নতা দূর করে
মুরগির মাংসে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ফলে এক বাটি চিকেন স্যুপ স্বস্তি এনে দিতে পারে। বিষণ্নবোধ হলে কয়েকটি চিকেন উইংস খাওয়া যেতে পারে। যা মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।  

 

হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে
বয়স্কদের আর্থ্রাইটিস ও হাড় সংক্রান্ত অন্য রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। প্রতিদিন মুরগির মাংস খাবার তালিকায় রাখলে এর প্রোটিন হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করবে।

 

হার্টের জন্য ভালো
মুরগির মাংস হোমোকিস্টাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। হোমোকিস্টাইন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। উচ্চমাত্রায় এটি হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

 

ফসফরাসের প্রাচুর্য
মুরগির মাংস ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া ফসফরাস কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

হজমে সাহায্য করে
মুরগির মাংসের ভিটামিন বি-৬ শরীরে বিপাকের মাত্রা উন্নত করে। শরীরে চর্বি না বাড়িয়েই খাবার হজম করতে পারে। রক্তনালী ঠিক রাখতেও এটি কাজ করে।  

 

‘নিয়াসিন’ সমৃদ্ধ
শরীরকে ক্যান্সারমুক্ত রাখতে নিয়াসিন একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন। মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে নিয়াসিন থাকে, যা বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার ও ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ দ্বারা যেসব জিনগত সমস্যা তৈরি হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 

চোখ ভালো রাখে
অন্য খাবারগুলোর মতো মুরগির মাংসও চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। মুরগির মাংসে রেটিনল, আলফা ও বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন থাকে যার সবগুলোই ভিটামিন ‘এ’ তে পাওয়া যায়। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এগুলো জরুরি উপাদান।  

 

 

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রয়লার মুরগি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। আসলে যেভাবে ব্রয়লার মুরগিদের বড় করা হয়, তা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়। সর্বোপরি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির তোয়াক্কা না করেই তাদের ব্রিড করানো হয়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপর। মুরগি মোটাসোটা হবে তো তা থেকে বেশি মাংস পাওয়া যাবে, ফলে লাভ হবে বেশি।

এই লোভে যেভাবে মুরগিদের মোটা করা হয় তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সাবধান!

 

আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্রয়লার মুরগীর বিপদগুলো...

১. বয়লার মুরগি বাচ্চা মাত্র পাঁচ সপ্তাহেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়! মাত্র এক কেজি আটশো গ্রাম ম্যাশ খাওয়ালেই এক কেজির নিট মাংস! দুই কেজি ওজনের মুরগি জবাইয়ের আগে ম্যাশ খাচ্ছে মাত্র তিন কেজি ছয়শো গ্রাম! রহস্যটা কী? ম্যাশের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম। ইনজেকশন পুশ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। চড়চড় করে বড় হচ্ছে মুরগি, হু হু করে বাড়ছে ওজন।

এই ব্রয়লারের মুরগিই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। তারপর চেটেপুটে খাচ্ছি আমরা।

 

কিন্তু জানি কি, পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কী ভয়ঙ্কর বিপদ? সাম্প্রতিক একটি গবেষণা  বলছে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না আমাদের শরীরে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে।

ছোটখাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ফলে রোগ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নিতে হবে ডাক্তারদের। যে অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক কুপ্রভাব পড়বে আমাদের শরীরে।

 

২. কাঁচা মাংসে প্রচুর মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর দোকানে যেভাবে একাধিক মুরগিকে এক সঙ্গে রাখা হয় তাতে দু-পাঁচটার শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করে না যাওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক নয়।

আর এমনটা যে হয় না, সে কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে কি? শুধু তাই নয়, যখন মুরগী কাটা হয় তখনও জীবিত মুরগির শরীর থেকে কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই জীবাণু যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আর রক্ষা নেই।

 

৩. কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতো মাত্রাতিরিক্ত ব্রয়েলার মুরগি খেলে রক্তে  কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তবে এই যুক্তির স্বপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৪. ব্রয়লার চিকেন খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্রয়েলার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা কোনও ভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।

৫. বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে কখনই বাকি খাবার বা সবজির সঙ্গে সেটি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, যে ছুরি দিয়ে মাংসটা কাটবেন তা দিয়ে ওই সময় সবজি কাটবেন না। আর যে প্লেটে কাঁচা মাংসটা রাখবেন তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই অন্য় কাজে লাগাবেন। যেমনটা আগেও বলেছি কাঁচা মাংসে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই নিয়মটা মানলে সেই জীবাণু বাকি খাবারে ছড়িয়ে যাওরা সুযোগ পায় না। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে।

 

 

 

BROILER MURGI (A GRADE)

220.00৳Price
1 Kilogram
  • You may return the item and get your money back or buy other items if you do not like it.

No Reviews YetShare your thoughts. Be the first to leave a review.
bottom of page